২০১৯ সালের শুরুতে শুরু হওয়া বিপিএলের শুরুটা কেমন যেন একটু মেজ্যমেজে ছিল কিন্তু বিপিএলের রং ফিরছে আস্তে আস্তে। ঢাকা ডায়নামাইটস রাজশাহী কিংসকে ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর গতকাল খুলনা কে হারায় ১০৫ রানের আরো বিশাল ব্যবধানে। আর আসরের দ্বিতীয় দিনে রংপুর ও খুলনার মধ্যে সংঘটিত হওয়া ম্যাচটিও রং ছড়িয়েছিলো অনেকটাই।
যদিও দর্শকরা টি-২০ বলতে বোঝে চার ছক্কার বৃষ্টি কিন্তু গতকাল তামিমের কুমিল্লা আর মাশরাফির রংপুরের খেলাটি মানুষের মনে গেথে গেছে অনেকটাই ভিন্ন কারণে।
৩ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পাওয়া মাশরাফির রংপুর গতকাল কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সকে হারিয়েছে ৯ উইকেটে। কুমিল্লার কাছে মাত্র ৬৪ রানের টার্গেট পাওয়া রংপুর ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২ ওভারেই জয়ের দেখা পেয়ে যায়।
আপাদমস্তক ব্যার্থ কুমিল্লার হয়ে গতকাল শুধুমাত্র শহীদ আফ্রিদি দুই অংকের ঘরে রান করতে পেরেছিলেন। ১৮ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২৫ রান করেন আফ্রিদি। কুমিল্লার অন্যরা কেউ দুই অংকে তো দূরের কথা ৮ এর উপরে রান করতে পারেননি।
কুমিল্লাকে মাত্র ৮৭ রানের গন্ডিতে বেঁধে দেয়ার জন্য যদি কাওকে দায়ী করতে হয় তাহলে বলতে হয় এক্ষেত্রে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফির চেয়ে দায়ী আর কেউ হতে পারেননা। ১৩ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাত্র একবারই পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ১৯ রানে দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে তাও আবার সেই ২০১২ সালের জুলাইয়ে। মাশরাফি গতকাল যেন নিজেকেও ছাড়িয়ে গেলেন। ৪ ওভারে ৪ উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১১ রান দিয়েই।
গুরুত্বের বিচারে মাশরাফির কাছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের গুরুত্বই বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসাব করি। আমার কাছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের গুরুত্ব বেশি থাকে। তবে আমি যখন যেটা খেলি সর্বোচ্চ দিয়ে খেলার চেষ্টা করি। যদি আপনি বিশেষ গুরুত্বের কথা বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসাব করি।’
কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এই চার উইকেটের মাঝে কোন উইকেটটি মাশরাফির কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে মাশরাফি জানান, ‘তামিম ইকবালের আউটটা তাঁকে বেশি আনন্দ দিয়েছে।’
‘চার উইকেটের ভেতরে অবশ্যই তামিমের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। স্মিথেরটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে তামিম সব সময় আমাকে ভালোভাবে সামলেছে। দীর্ঘদিন তামিম আমাকে ভালো খেলে আসছে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে বা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ যেটাই খেলেছি, ও সব সময় আমাকে ভালো সামলায়। ওর স্ট্রাইকরেটও ভালো থাকে আমার বিপক্ষে। ওর উইকেটটা অবশ্যই আমার জন্য ইতিবাচক ছিল। যেহেতু ও আমার বিপক্ষে সব সময়ই সফল হয়। ওর উইকেটটা নেওয়ার কারণে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। স্মিথ, লুইস, ওরা কী করতে পারতে পারে আমরা সবাই জানি। তবুও আমার ক্ষেত্রে তামিমের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’