চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও তা নিয়ন আলোতে মলিন হয়ে গেছে। একটা ম্যাচ খেলার সময় খেলার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মনোবল দৃঢ় থাকাটাও একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেইদিক থেকে টাইগাররা তাদের পুরোটা দেখিয়েছেন। আর সেটার প্রমান দিয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের পারফরমেন্স দিয়ে। যদিও গতকাল ম্যাচটিকে ড্র ঘোষণা করা হয়েছে ,তারপরেও সেটা জয়ের থেকে কোনো অংশে বোধ হয় কম ছিল না।
গতকালের পঞ্চম দিনটা ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা দিন। ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানে পিছিয়ে থাকার বিশাল চাপ, তার মধ্যে সামনে ছিল পুরো একটি দিন। তবে যত যাই হোক বাংলাদেশ দলের ধৈর্য্য এবং দৃঢ় বিশ্বাস তাদের সব বাধাকে উপেক্ষা করে একটা সম্মানজনক ফলাফল এনে দিয়েছে।
যদিও এই ম্যাচে উইকেটের হিসাবে জয়ের সমান মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। তবে তাতে কি? সব সময় গণিতের মতো সব হিসাব মিলতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই।
তবে যাই হোক না কেন মাহমুদুল্লাহর প্রথম অধিনায়কত্ব এবং জন্মদিন দুইয়ে মিলিয়ে খুশিটা দ্বিগুন করে দিয়েছে। যদিও জন্মদিন নিয়ে ক্রিকেটারদের ততটা আগ্রহ নেই। তবুও ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহর কেক কেটেই ম্যাচ ড্র এর উদযাপন করা হয়।
অবশ্য গত চার দিনের খেলায় গেম প্ল্যানের পুরোটা জুড়েই ছিল ম্যাচ বাঁচানোর প্রতিজ্ঞা। এই বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় একটা জিনিসই ছিল। সেটা হলো, আমাদের মধ্যে যেন ওই বিশ্বাসটা থাকে যে আমরা বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি এবং সেভাবেই যেন আমরা রিঅ্যাক্ট করি, কাজগুলো ঠিকভাবে করি। আলহামদুলিল্লাহ, মমিনুল ও লিটন আজ খুব ভালো ইনিংস খেলেছে। খুব ভালো লেগেছে।’
চট্টগ্রামের ম্যাচের এই ড্র যে আগামী ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাসের যোগান হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। খেলায় হার জিত থাকবেই। আর সেটা সঙ্গে নিয়েই মাঠে নামতে হয়। তবুও আশার ভেলায় ভাসতে সবাই পছন্দ করে। তাই সামনের দিনে প্রত্যাশা ও আশার সম্পর্কটা কেমন মধুর হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।