মাহমুদউল্লাহর খুলনার দেওয়া ১৭১ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে ১৫০ রানে শেষ হলো সিলেট সিক্সার্সের ইনিংস। ২০ রানে আসরের দ্বিতীয় জয় পেল খুলনা।
বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই লিটনের উইকেট হারায় সিলেট। দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির রহমান ও আফিফ হোসেন। এই জুটিতে লম্বা সময় পর জাতীয় দলের স্কোয়ার্ডে জায়গা পাওয়া সাব্বিরের উপর নজর ছিল সবার কিন্তু তিনি এদিন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। দলীয় ৩২ রানে ১২ বল থেকে ১৩ রান করে তাইজুলের বলে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে আলোক কাপালি ও আফিফ যোগ করেন ২২ রান। এরপর নবম ওভারে দুই ব্যাটসম্যান তাইজুলের শিকার হয়ে প্যাভিলন মুখি হন। কাপালি ১৬ বল থেকে ১১ এবং আফিফ ২৪ বল থেকে ২৯ রান করেন।
পঞ্চম উইকেটে ইনিংস মেরামতের দায়িত্বে আসেন পুরান ও নেওয়াজ। দুজনের ব্যাটে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৩১ বল থেকে অর্ধশত রানের জুটি পূরণ করেন তারা। ইনিংসের ১৮তম ওভারে পুরান ও নেওয়াজ জুটির ইতি টানেন উইসি। শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ হয়ে ২১ বল থেকে ২৮ রানে ফিরলে খুলনার ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। একই ওভারে ফিরতে পারতেন নেওয়ার তবে তাইজুল ক্যাচ মিস করলে ৩২ বল থেকে অর্ধশতক পূরণ হয় তার। এর আগেও ২৯ রানে জীবন পেয়েছিলেন নেওয়াজ।
শেষ দুই ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। তবে দুই জীবন পেয়ে জুনায়েদের করা তৃতীয় বলে নেওয়াজের মারা বলে ক্যাচ নিয়ে তাকে প্যাভিলনে ফেরান শান্ত। এখানেই ম্যাচ জয়ের আশা ছেড়ে দেয় সিলেট।
শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। তবে ৪ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। নাসির হোসেন শেষ ২ বল থকে ০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে শেষ হয় সিলেটের ইনিংস।
খুলনার হয়ে ৩২ রানে ৩টি উইকেট নেন তাইজুল। শুভাশিস, জুনায়েদ খান, ইয়াসির শাহ ও উইসি প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন।
চলতি আসরে নবম ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল খুলনা। এর মধ্যেই তারা সেমি ফাইনান থেকে ছিটকে গেছে। অন্যাদিকে ৮ ম্যাচে ২টি জয়ের মুখ দেখেছে সিলেট। এই হারে সেরা চারে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল তাদের।