কর ফাঁকি মামলায় তাঁর ২৩ মাসের জেল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। শেষমেশ জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হলোও তাই। তবে এই যাত্রায় বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিয়ে জেল যাওয়া থেকেও রক্ষা পেলেন তিনি। দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রোনালদো ১৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে রাজি হয়েছেন।
স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৪ বছর কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। সে কারণেই এবার এতো বড় শাস্তির সম্মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
স্পেনে প্রথমবার সহিংস অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত সাজা পেলে কাউকে জেল খাটতে হয় না। একই শুনানিতে আদালত তাঁকে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছেন। তবে মাদ্রিদ আদালতের দেওয়া এ রায় মেনে নিয়েছেন রোনালদো। মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে মাদ্রিদের আদালত এ রায় দেন।
আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁকে। কালো কোট আর কালো প্যান্টে বান্ধবীর হাত ধরে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল রোনালদোকে। হাজিরা দেওয়ার আগে অটোগ্রাফও দিলেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছিল, একেবারেই চাপে নেই তিনি। রোনালদো আবেদন রেখেছিলেন যে তাঁর কোর্টে আসা যেন প্রকাশ্যে না ঘটে। কিন্তু, আদালত সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। ফলে, সামনের প্রবেশপথ দিয়েই আদালতে আসেন তিনি। সেখানে তখন প্রচারমাধ্যমের ভিড়। কিন্তু, তাঁকে নির্বিকার দেখায়।
উল্লেখ্য, বড়সড় জরিমানা দিয়ে কর ফাঁকি মামালায় রেহাই পেলেও রোনালদোর মাথায় এখনও কালো মেঘের মতো আচ্ছাদিত রয়েছে ধর্ষণ মামলা। ক্যাথরিন মায়োরগা নামের মডেল সিআরসেভেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। রোনালদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি বিলাসবহুল হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগকে সাজানো বলে দাবি করেছেন রোনালদোর আইনজীবী।
কয়েকদিন আগেই ওই মামলায় রোনালদোর ডিএনএ-র নমুনা চেয়ে পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিস। এই পরিস্থিতিতে কর ফাঁকি মামলা ফুটবল তারকাকে আরও কোণঠাসা করে দিয়েছিল। এমন অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিয়ে সাময়িক স্বস্তির পথই বেছে নিলেন সিআরসেভেন।